ইউজ না করলেও স্মার্টফোনের চার্জ শেষ করে দিচ্ছে যেসব অ্যাপ

স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে অনেকেই অভিযোগ করেন, তাদের ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এর পেছনে প্রধান কারণ হতে পারে কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ, যেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং প্রচুর ব্যাটারি খরচ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন অ্যাপ আপনার ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ করছে।

ইনস্টাগ্রাম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম। ছবি ও ভিডিও শেয়ারের জন্য এটি ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। তবে এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা সিঙ্ক করে এবং প্রচুর নোটিফিকেশন পাঠায়, ফলে ব্যাটারি দ্রুত কমে যায়।

ফেসবুক

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকও ব্যাটারি ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। অনেক ব্যবহারকারী দিনের বেশিরভাগ সময় ফেসবুক ব্যবহার করেন, যার ফলে এটি ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ করে ফেলে।

স্ন্যাপচ্যাট

তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর মধ্যে একটি হলো স্ন্যাপচ্যাট। এটি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার পাশাপাশি বিভিন্ন ফিল্টার ও ইফেক্ট প্রদান করে। তবে এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ব্যবহার করে এবং ক্যামেরা ও জিপিএস এক্সেস রাখার কারণে ব্যাটারির ওপর প্রভাব ফেলে।

হোয়াটসঅ্যাপ

নিরাপদ যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে চ্যাট, ভয়েস কল এবং ভিডিও কলের কারণে এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক বেশি ব্যাটারি ব্যবহার করে।

ফিটবিট

ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের জন্য জনপ্রিয় এই অ্যাপটি সারাক্ষণ ব্যাকগ্রাউন্ডে সেন্সর ডেটা সংগ্রহ করে, ফলে ব্যাটারির ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে।

উবার

যাত্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত অ্যাপ উবার ব্যাকগ্রাউন্ডে লোকেশন ট্র্যাক করে এবং ডেটা রিফ্রেশ করে, যা ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ করে দিতে পারে।

স্কাইপি

স্কাইপি ভিডিও ও ভয়েস কলের জন্য বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে ব্যবসায়িক কাজে। তবে এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে নোটিফিকেশন ও ডেটা ব্যবহার করে ব্যাটারির খরচ বাড়িয়ে দেয়।

এয়ারবিএনবি

ভ্রমণের জন্য হোটেল ও থাকার জায়গা বুকিং করতে ব্যবহৃত অ্যাপ এয়ারবিএনবি ব্যাকগ্রাউন্ডে লোকেশন ট্র্যাকিংসহ বিভিন্ন ফিচার চালু রাখে, যা ব্যাটারির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

বাম্বল

ডেটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে বাম্বল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে তথ্য আপডেট করতে থাকে, ফলে চার্জ দ্রুত শেষ হয়।

কিভাবে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করবেন?

আপনার ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হওয়া রোধ করতে নিচের কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ বন্ধ করুন
অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন অফ করুন
ডার্ক মোড ব্যবহার করুন (যদি সম্ভব হয়)
লোকেশন অ্যাক্সেস ‘While Using’ মোডে রাখুন
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুন

আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে এসব বিষয় মাথায় রাখুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top